সঙ্গিনীর কাছাকাছি আসার পরও সুর্দশন-সুপুরুষরাও প্রত্যাখ্যাত হতে পারেন। এর কারণ হতে পারে শরীরের বাজে গন্ধ। দুর্গন্ধ না থাকলেও বিশেষ গন্ধের বদৌলতে পুরুষের প্রতি আকর্ষিত হন নারীরা। এমন গন্ধ কোনো বডি স্প্রে বা কোলন নয়, দিতে পারে বিশেষ কিছু খাবার। এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে ইউনিভার্সিটি অব প্রাগের গবেষকদের গবেষণায়। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা। এক দল পুরুষের অর্ধেককে খাওয়ানো হয় পনিরের স্যান্ডুইচ। এর মধ্যে ১২ গ্রাম রসুন কুচি করে মেশানো হয়।
দলের বাকি অর্ধেক শুধুমাত্র চিজ স্যান্ডুইচ খান। এরপর তাদের দেহের গন্ধ পরীক্ষা করা হয়। বিশেষ করে ধূমপান বা ঘামের কারণে গন্ধের তারতম্যে কতটা পার্থক্য ঘটে তাও দেখা হয়। দলের প্রত্যেক পুরুষের বগলে তুলোর প্যাড দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় তাদের ঘাম ও গন্ধ। টানা ১২ ঘণ্টা রাখা হয় তুলোর প্যাড।
এক সপ্তাহ পর একই পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এর পর এই তুলার প্যাডগুলোর গন্ধ নেন মহিলারা। কোন প্যাডের গন্ধ আকর্ষণীয় তার র্যাঙ্কিংও করেন তাঁরা। পরীক্ষায় দেখা যায়, যে পুরুষরা রসুনের মিশ্রণে চিজ স্যান্ডুইচ খেয়েছিলেন তাদের গন্ধ অনেক আকর্ষণীয়, সুখকর এবং পুরুষালি বলে বিবেচিত হয় মহিলাদের কাছে।
এ সকল পুরুষের দেহের গন্ধের তীব্রতাও কম ছিল। গন্ধের ভিত্তিতে নারীদের কাছে আকর্ষণীয় পুরুষের মান বিচারে ১-৭ পয়েন্টের স্কেল নির্ধারিত হয়। রসুনের স্যান্ডুইচ খাওয়া পুরুষদের আর্কষণমাত্রা স্কেলে ২.৯ থেকে ৩.১ পয়েন্টে পৌঁছে। পার্থক্যে বোঝা যায়, পুরুষের গায়ের গন্ধ নারীদের আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিজ্ঞানীরা জানান, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের জন্যে পুরুষের দেহের গন্ধের এমন পরিবর্তন ঘটেছে। অথবা এটি রসুনের স্বাস্থ্যকর উপাদানের কোনো জাদু। হয়তো রসুন কার্ডিওভাসকুলার বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বিষয়ক উপকারিতার কারণে গন্ধের তারতম্য ঘটছে।